দেশ 

“আমার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী দেশের যুদ্ধের সময় সোনা দান করেছিলেন, আমার মায়ের মঙ্গলসূত্র দেশের জন্য উৎসর্গ হয়েছে” : প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ইশতেহারে মানুষের সমস্যাগুলোর সমাধানের কথা যে বলা হয়েছিল সেটা না বলে নরেন্দ্র মোদি মিথ্যাচার করে এক সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে। আর সেই সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসের নির্বাচনে ইশতেহারের মূল কথাগুলি না বলে মিথ্যাচার করে তিনি বলেন,‘আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও মুসলিমদের হাতে তুলে দেবে কংগ্রেস।’ প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। সেই ইস্যুতেই এবার কড়া সুরে মোদিকে জবাব দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। তাঁর ভাষণে উঠে এলো মা সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) মঙ্গলসূত্রের প্রসঙ্গ। জানালেন, দেশের জন্য নিজের মঙ্গলসূত্র উৎসর্গ করেছেন তাঁর মা।

বেঙ্গালুরুর মাটিতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা জানালেন, “৭০ বছর হল দেশ স্বাধীন হয়েছে। ৫৫ বছর ধরে কংগ্রেস দেশ শাসন করেছে। কখনও কি কারও মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে? আমার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী দেশের যুদ্ধের সময় সোনা দান করেছিলেন, আমার মায়ের মঙ্গলসূত্র দেশের জন্য উৎসর্গ হয়েছে।” এরপরই মোদিকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “সত্য হল বিজেপির লোকেরা মহিলাদের সংগ্রাম বুঝতে পারে না। যদি মোদিজি বুঝতেন তাহলে একথা বলতে পারতেন না।” এরপর মোদি শাসনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “নোট বাতিল করে উনি মহিলাদের সঞ্চয় কেড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। কৃষক আন্দোলনের সময় ৬০০ কৃষক নিজের জীবন দান করেছেন মোদিজি ভেবেছেন তাঁদের বিধবা স্ত্রীদের মঙ্গলসূত্রের কথা? মণিপুরে যখন মহিলাকে নগ্ন অবস্থায় ঘোরানো হয়, তখন মোদিজি নীরব থাকেন। আজ ভোটের জন্য এসব বলছেন উনি। ভয় দেখাচ্ছেন মহিলাদের, যাতে তাঁরা ভোট দেন।”

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মন্তব্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে এক সেমিনারে বক্তব্য বলেছিলেন যে আমাদের উচিত দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের উন্নয়নের শরিক করা। মনমোহন সিংহের সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান মোদি।

উল্লেখ্য কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে ৩০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, গরিবদের জন্য পরিবারের মহিলা সদস্যদের বছরে এক লক্ষ টাকা এবং অগ্নিবিদ প্রকল্প বাতিল যুব সম্প্রদায়ের জন্য এক বছরের internship প্রকল্প চালু করার কথা বলেছে। নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব ছিল কংগ্রেসের ইশতেহারের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কিংবা কংগ্রেসের তাহারের পাল্টায় ইস্তেহার মানুষের কাছে তুলে ধরা। তা বলে তিনি যেভাবে মিথ্যাচার করছেন তা ভারতের ইতিহাসে সম্ভবত তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি এই কাজটি করছেন এর আগে কোন প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের কাজ করেছেন বলে নজির নেই। বিরোধীদলের ইস্তেহারকে সামনে রেখে মিথ্যাচার করা হয়েছে এই ঘটনা বিশ্বে বিরল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ